গানের মালা

৯৫ টি সংগীত সমৃদ্ধ গ্রন্থটি ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩ অক্টোবর ( কার্তিক ১৩৪১ ) প্রকাশ করেন গুরুদাস চট্রোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স। গ্রন্থটি উৎসর্গপত্রে লেখা ছিল: “পরম স্নেহভাজন শ্রীমান অনিলকুমার দাস কল্যাণবরেষুকে”। ৪+৯৬ পৃষ্ঠার গ্রন্থের মূল্য ছিল দেড় টাকা।

এই গ্রন্থ যে সকল গানে সমৃদ্ধ গ্রন্থটি সেগুলি হল :

আমি সুন্দর নহি জানি
আধো-আধো বোল
না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায়
অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত দেহা
ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি
ঝরাফুল- বিছানো পথে এস
প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
আজ নিশীথে অভিসার তোমার পথে
কার মঞ্জীর রিনিঝিনি বাজে
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যদি যাই
বল্ রে তোরা বল্ ওরে ও আকাশ-ভার তারা
বল্ সখি বল্ ওরে সরে যেতে বল্
নিশি না পোহাতে যেয়ো না যেয়ো না
চম্পা পারুল যুথী টগর চামেলি
দুর দ্বীপ-বাসিনী চিনি তোমারে চিনি
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে
বকুল-বনের পাখি ডাকিয়া আর
মনের রং লেগেছে বনের পলাশ
আধখানা চাঁদ হাসিছে আকাশে
যবে সন্ধ্যাবেলায় প্রিয় তুলসী-তলায়
আঁখি তোলো দানো করুণা
মদির স্বপনে মম বন-ভবনে
মুঠি মুঠি আবীর ও কে কাননে ছড়ায়
বল্লরী-ভুজ-বন্ধন খোলো
তব যাবার বেলা বলে যাও মনের কথা
তরুণ অশান্ত কে বিরহী
বরষা ঐ এল বরষ্য ঝরে বারি গগনে ঝুরুঝুরু
আমি ময়নামতীর শাড়ি দেবো
স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা এস মালবিকা
মেঘ -মেদুর গগন কাঁদে হুতাশ পরন
আমি অলস উদাস আনমনা
কোয়েলা কুহু কুহু ডাকে
তোমার হাতের সোনা রাখি আমার হাতে
বাদলা-মেঘের বাদল-তালে ময়ূর নাচে
কে দুরন্ত বাজাও ঝড়ের ব্যাকুল বাঁশি
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী
দূর প্রবাসে প্রাণ কাঁদে আজ
শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির-নির্মল
দোলে প্রাণের কোলে প্রভুর নামের মালা
শঙ্কাশূন্য লক্ষকণ্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ
চল্ রে চপল তরুণ-দল বাঁধন-হারা
বীরদল আগে চল্
জননী মোর জন্মভূমি
তোমার পায়ে ; কে পরালো মুন্ডমালা
নাচে রে মোর কালো মেয়ে
মাতলো গগন-অঙ্গনে ঐ
দেখে যা-রে রুদ্রাণী মা
মহাকালের কোলে এসে গৌরী
শ্মশান-কালীর নাম শুনে রে
জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছে
খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি
শ্যামা তন্বী আমি মেঘ-বরণা
মম আগমনে বাজে আগমনীর সানাই
উত্তরীয় লুটায় আমার
ওরে ও ¯্রাতের ফুল
বুনো ফুলের করুণ সুবাস ঝুরে
এল শ্যামল কিশোর
এল এল রে বৈশাখী ঝড়
ঘুমাও, ঘুমাও ! দেখিতে এসেছি
কলঙ্ক আর জোৎস্নায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ
শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে
রাত্রি শেষের যাত্রী আমি
ফুলের মতন ফুল্ল মুখে
ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার সামনে
দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা
মা এসেছে মা এসেছে
ঐ কাজল-কালো চোখ
ও কালো বউ
যেয়ো না আর যেয়ো না
আগের মত আমের ডালে বোল ধরেছে
তোর রূপে সই গাহন করে
ঝড়-ঝঞ¦ার ওড়ে নিশান
আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায়
এল ঐ বনাস্তে পাগল বসন্ত
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
এস কল্যাণী, চির-আয়ুষ্মতী
দাও শৌর্য দাও ধৈর্য হে উদার নাথ
চাঁদের দেশের পথ-ভোলা ফুল
রঙ্গিলা আপনি রাধা
কুঙ্কুম আবীর ফাগের
এল ফুল-দোল ওরে
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল
জাগো দুস্তর পথের নব-যাত্রী
ডেকো না আর দূরের প্রিয়া
ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান
যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম
মোর বুক-ভরা ছিল আশা
বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা
মিলন-রাতের মালা হব তোমার অলকে
যায় ঝিল্মিল্ ঢেউ তুলে
কাজরী গাহিয়া চল গোপ-ললনা
এবং তরুণ-তমাল-বরণ এস শ্যামল আমার।