এই গ্রন্থটির প্রকাশক ছিলেন ডি এম লাইব্রেরি। ৮+১০৪ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ছিল দেড় টাকা। প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৪ সালের এপ্রিলে ( ১৩৪১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ )। নজরুল ইসলাম এই গ্রন্থের প্রারম্ভে ‘দুটি কথা’ শীর্ষক ভূমিকায় লেখেন “গীতিশতদলে’র সমস্ত গানগুলিই গ্রামোফোন ও স্বদেশী মেগাফোন কোম্পানীর রেকর্ড়ে রেখাবদ্ধ হইয়া গিয়াছে। আমার বহু গীতি- শিল্লী বন্ধুর কল্যাণে ‘রেড়িও’ প্রভৃতিতে গীত হওয়ায় এই গানগুলি ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে। এই অবসরে তাঁহাদের সকলকে ধন্যবাদও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি।… আমার বুলবুল প্রভৃতি গানের বইয়ের মত “গীতিশতদল”-ও সকলকে আকর্ষণে সমর্থ হইলে নিজেকে ধন্য মনে করিব।”
এই গ্রন্থে মোট ১০১টি গান ছিল। যে গানগুলি স্থান পায় সেগুলি হল :
শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
চমকে চমকে ধীর ভীরু পায়
ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
পলাশ ফুলের মউ পিয়ে
এস বসন্তের রাজা হে আমার
তুমি নন্দন-পথ-ভোলা
তোমার ফুলের মতন মন
হেসে হেসে কল্সি নাচাইয়া
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধুলায়
গত রজনীর কথা পড়ে মনে
পলাশ ফুলের গেলাস ভরি
রহি রহি কেন আজো
পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
চাঁদের পিয়ালাতে আজি
এস শারদ প্রাতের পথিক
মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা
সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
আমার দেওয়া ব্যথা ভোলা
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু
গোধূলির রং ছড়ালে
সকরুণ নয়নে চাহে
বাজিছে বাঁশির কার
বন-হরিণীর তব বাঁকা আঁখির
রেশমি চূড়ির তালে
সেই পুরানো সুরে আবার
ধীরে যায় ফিরে ফিরে চায়
পিয়াসী প্রাণ তারে চায়
বেলা পড়ে এল
এল ফুলের মহলে ভোমরা
ফিরে ফিরে দ্বারে আসে যায়
আজও ফোটেনি কুঞ্জে
পলাশ মঞ্জরি পরায়ে দে লো
এ ঘোর-শ্রাবণ-নিশি
দিও ফুলদল বিছায়ে
অবুঝ মোর আঁখি-বারি
উচাটন মন ঘরে রয় না
ফিরে গেছে সই
ছাড় ছাড় আঁচল বঁধু
কুল রাখ না রাখ
ফিরিয়া এস এস হে
আঁধি ঘুম-ঘুম
সেদিনো প্রভাতে
জাগো জাগো রে মুসাফির
কত জনম যাবে
হায় ঝরে যায়
এ কোথায় আসিলে হায়
ভুল করে আসিয়াছি
ভোলো প্রিয় ভোলো ভোলো
আমি যেদিন রইব না গো
এলে যে গো চির-সাথী
ও তুই যাস্নে রাই কিশোরী
দুঃখ ক্লেশ শোক
ভোলো অতীত-স্মৃতি
চির-কিশোর মুরলীধর
সাগর আমায় ডাক দিয়েছে
ভালোবেসে অবশেষে
এস নূপুর বাজাইয়া
রাস-মাঞ্চাপরি দোলে মুরলীধর
নাচিয়া নাচিয়া এস
নাচে ঐ আনন্দে
তোমারে কি দিয়া পূজি
আমার নয়নে কৃষ্ণ
মন লহ নিতি নাম
তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি
দাও দাও দরশন
নাচিছে নট-নাথ
বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে
বিজন গোঠে কে রাখাল
আজি নন্দ দুলালের সাথে
শোনো লো বাঁশিতে
হেলে দূলে বাঁকা কানাইয়া
মণি-মঞ্জীর বাজে
ফিরে যা সখি ফিরে যা ঘরে
আনন্দ দুলালী ব্রজবালার সনে
গুঞ্জ-মালা গলে
মোর মাধব শূন্য মাধবী কুঞ্জে
ব্রজের দুলাল ব্রজে আবার
সখি যায়নি তো শ্যাম মথুরায়
নমো নটনাথ
ভবের এই পাশা খেলায়
ভুবনে ভুবনে আজি
অসুর- বাড়ির ফেরৎ এ মা
আজি প্রথম মাধবী ফুটিল কুঞ্জে
জাগো যোগমায়া জাগো মৃন্ময়ী
হোরির রঙ লাগে
বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু
জাগো জাগো ! নব আলোকে
পরান হরিয়াছিলে পাশরিয়া
নবীন বসন্তের রানী তুমি
আজি মিলন-বাসর
ওরে হুলোরে তুই রাত বিরেতে
নিয়ে কাদা মাটির তাল
আজকে হোরি ও নাগরী
আচ লাচনের লেগেচে যে গাঁদি
চায়ের পিয়াসী পিপাসিত চিত আমারা চাতক দল
গিন্নির ভাই গান গাহে
নথ-দন্ত-বিহীন
নমো নমঃ আবু আর হাবু
এবং একে একে সব