চন্দ্রবিন্দু

ডি এম লাইব্রেরি থেকে চন্দ্রবিন্দু’ গ্রন্থটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে ( ১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর ) চন্দ্রবিন্দু প্রথম প্রকাশিত হয়। মূল্য ছিল দুই টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিল এই লিখে : “পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীমদ্দাঠাকুর শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র পন্ডিত মহাশয়ের শ্রীচরণকমলে”। স্বীয় পুত্র বুলবুলের মৃত্যুর পর নজরুল তাঁর প্রধানত ; হাস্যরসাত্মক ‘চন্দ্রবিন্দু’ সংগীত গ্রন্থের প্রায় সব গান রচনা করেন। নিদারুণ শোকাচ্ছন্ন মতে তাঁর হাস্যরস সৃষ্টির ক্ষমতা বিস্ময়কর। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ অক্টোবর এই বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ৩০ নভেম্বর গ্রন্থটির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে ১৩৫২ বঙ্গাব্দের ফল্গুনে ( ১৯৪৬ ) নূর লাইব্রেরি থেকে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তখন বইটির মূল্য রাখা হয় সাড়ে তিন টাকা। এই সঙ্গীত গ্রন্থের ১৮টি গান নজরুলের হাসির গান হিসেবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হাসির গানগুলির মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনাসম্পণ্ন দেশাত্মবোধক তীব্র ব্যঙ্গপ্রধান চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।

যে সমস্ত নজরুলগীতি এই গ্রন্থে সংকলিত সেগুলো হলঃ-

আদি পরম বাণী
জয় বীণা বিদ্যাদায়িনী
তুমি দুখের বেশে এলে বলে
আমি ভাই খ্যাপা বাউল
ওহে রাখাল রাজ
তুই লুকাবি কোথায় মা
আমার সকলি হরেছ
চল মন আনন্দ-ধাম
নমো নমো নমঃ হে নটনাথ! জাগো জাগো শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী!
বন্দীর মন্দিরে জাগো দেবতা
জবা-কুসুম সঙ্কাশ ঐ
পূজা-দেউলে মুরারি
তিমির বিদারী অলখ-বিহারী
নাহি ভয় নাহি ভয়
কারা পাষাণ ভেদি জাগো
আজি শৃঙ্খলে বাজিছে মাভৈ
নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন
জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী
কেঁদে যায় দক্ষিণ হাওয়া
ঐ পথ চেয়ে থাকি
আজি পূর্ণশশী কেন মেঘে ঢাকা
মৃদুল মন্দে মঞ্জুল ছন্দে
এস এস তব যাত্রা-পথে
প্রণমি তোমায় বন-দেবতা
ফুলে ফুলে বন ফুলেলা
শুক্লা জো‍ৎস্না-তিথি
কুসুম-সুকুমার শ্যামল-তুন
বন-বিহারিণী চপল হরিণী
নিশুতি রাতের শশী
তোর বিদায় বেলার বন্ধুরে
ঘোর ঘনঘটা ছাইল গগন
কেন করুণ সুরে হৃদয-পুরে
কেন আসে কেন তারা চলে যায়
জয় মর্ত্যরে অমৃতবাদিনী
জাগো জাগো বধূ জাগো নব-বাসরে
বনে বনে জাগে কি আকুল হরষণ
নয়নে ঘনাও মেঘ
মালবিকা
সুন্দর হে, দাও দাও
তুষার-মৌলি জাগো জাগো
সন্ধ্যা-আঁধারে ফোটাও
কে যাবি পারে আয় ত্বরা করি