৭১ টি গান নিয়ে বনগীতি গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৩২ খৃষ্টাব্দে। [৩] গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছিলো ভারতের অন্যতম সংগীত কলা-বিদ জমীরুদ্দিন খানকে। উৎসর্গ করার সুচনা-গানটি সহ মোট গানের সংখ্যা ৭২টি।
বনগীতি-গ্রন্থে গ্রন্থিত গানসমূহ হলো:
তুমি বাদশা গানের তখতে (এটি উৎসর্গ-গান)
ভালোবাসার ছলে আমায়
কে নিবি ফুল কে নিবি ফুল
পেয়ে আমি হারিয়েছি গো
সখি বাঁধো লো বাঁধো লো ঝুলনিয়া
যায় ঢুলে ঢুলে এলোচুলে
যমুনা-সিনানে
নদীর নাম সই অঞ্জনা
আল্গা কর গো খোঁপার বাঁধন
পথ ভোলা কোন রাখাল ছেলে
কোকিল, সাধিলি কি বাদ
পান্সে জোছ্নাতে কে
ঝল্মল্ জরিন বেণী
কোন বন হতে করেছো চুরি
নিশীথ হয়ে আসে ভোর
কেমনে কহি প্রিয়
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলাদেশ মম
প্রিয় যাই যাই বলো না
ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী
রুমু রুম ঝুম
পদ্মদীঘির ধারে ঐ
দিতে এলে ফুল- হে প্রিয়
কে এলে মোর চির-চেনা অতিথি
দোলে নিতি নব রুপের ঢেউ পাথার
এলে কি বধুঁ ফুল-ভবনে
হে বিধাতা! দুঃখ শোক মাঝে তোমারি পরশ বাজে
পাষানের ভাঙালে ঘুম কে তুমি সোনার ছোঁয়ায়
বলো না বলো না ওলো সই
মরম-কথা গেল সই মরমে মরে
চল মন আনন্দ ধাম
এস হৃদি রাস মন্দিরে এস
আমার সকলি হরেছ হরি
যমুনা-কুলে মধুর মধুর মুরলি সখি বাজিল
কুসুম সুকুমার শ্যামল তনু
কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান
কেঁদে যায় দখিণ হাওয়া
মেরো না আমারে আর নয়ন বাণে
হেলে দুলে নীর-ভরণে ও কে যায়
বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যুথী বেলি
ও দুখের বন্ধুরে, ছেড়ে কোথায় গেলি
আমি ডুরি-ছেঁড়া ঘুড়ির মতন
তুমি ফুল আমি সুতো
মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে
ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে
চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়
দেখে যা তোরা নদীয়ায়
কালা এত ভাল কি হে কদম গাছের তলা
জবাকুসুম-সঙ্কাশ ঐ অরুণোদয়
মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী
আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়
শ্যামা তুই বেদেনীর মেয়ে
জয় বাণী বিদ্যাদায়ীনী
রোদনে তোর বোধন বাজে
তুমি দুখের বেশে এলে বলে
ওহে রাখাল রাজ!
ধ্যান ধরি কিসে হে গুর
আর লুকাবি কোথায় মা কালী
আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল
ও মা ফিরে এলে কানাই মোদের
পথে পথে কে বাজিয়ে চলে বাঁশি
ও মন চল অকূল পানে
এস মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী
নূপুর মধুর রুনুঝুনু বোলে
হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ
ফিরে আয় ভাই গোঠে কানাই
সুন্দর বেশে মৃত্যু আমার
রাখ রাখ রাঙা পায়
মোরে সেই রুপে দেখা দাও হে হরি
হৃদয়-সরসী দুলালে পরশি
রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি
প্রণমি তোমায় বন-দেবতা