সুরসাকী

সুরসাকী গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ( আষাঢ় ১৩৩৯ )। প্রকাশক কালীকৃষ্ণ চক্রবর্তী, চক্রবর্তী অ্যান্ড সন্স। মূল্য ছিল দেড় টাকা। মোট পৃষ্ঠা ছিল ৮+১০৪। গানের সংখ্যা ৯৭। সমৃদ্ধ সঙ্গীত গ্রন্থটি। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৬১ বঙ্গাব্দের আশ্বিনে (১৯৫৪)। প্রকাশিকা প্রমীলা নজরুল ইসলাম। এই সংস্করণে দুটি গান যুক্ত হয় যথা:- ; গানের সংখ্যা দঁড়ায় ৯৯-এ।

এ গ্রন্থের গানগুলি হল :

গানগুলি মোর আহত পাখির সম
প্রিয় তুমি কোথায় আজি
বিদায়-সন্ধ্যা আসিল ঐ
আজি গানে গানে ঢাকব
কত সে জনম কত সে লোক
কে দুয়ারে এলে মোর
কত আর এ মন্দির-দ্বার
কে পাঠালে লিপির দূতী
ফুল-ফাগুনের এল মরসুম
আমার নয়নে নয়ন রাখি
নিরালা কানন-পথে
এল ফুলের সরসুম
প্রিয় তব গলে দোলে
ছল ছল নয়নে মোর
আনো সাকি শিরাজী
হেনে গেল তীর
গোলার ফুলের কাঁটা
আজি দোল-ফাগুনের
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়
আজি শেফালির গায়ে হলুদ
শূন্য আজি গুল-বাগিচা
সই ভাল করে বিনোদ বেণী
পায়ে বিঁধেছে কাঁটা
ঢলঢল তব নয়ন-কমল
তোমার আঁখির কসম সাকি
বিরহের গুলবাগে মোর
ভুলিতে পারিনে তাই
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন
সখি লো তায় আন ডেকে
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে
ডেকে ডেকে কেন সখি
ঐ ঘর-ভুলানো সুরে
আকুল হলি কেন বকুর
আনমনে জল নিতে
আয় গোপিনী খেলবি হোরি
চাঁপা রঙের শাড়ি
শ্যামের সাথে
আজকে দোলের হিন্দোলায়
চাদিনী রাতে কানন-সভাতে
একেলা গোরী জলকে চলে
পিয়া গেছে কবে পরদেশ
সখি ঐ শোনো বাঁশি বাজে
বিরহের নিশি কিছুতে আর
ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি
সে চলে গেছে বলে
এ জনমে মোদের মিলন
হায় স্মরণে আসে গো
নদী এই মিনতি তোমার কাছে
ও কুল-ভাঙ্গা নদী রে
কুঁচ-বরণ কন্যারে
এস মা ভারত-জননী দুঃখ- সাগর মন্থন শেষ
বাজায়ে কাঁচের চুড়ি
মন কার কথা ভেবে
আমি কেন হেরিলাম
না মিটিতে মনোসাধ
তুমি কোন্ পথে এলে
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল হে প্রিয়
থাক সুন্দর ভুল আমার
এ কি সুরে তুমি গান
আজিকে তনু-মনে লেগেছে রং
আজি দোল-ফাগুনের দোল
কাহার তরে হায় নিশিদিন
সামলে চলো পিছল পথ
আমার সোনার হিন্দুস্থান
আমার শ্যামলা রবণ বাঙলা
লক্ষ্মী মা তুই আয় গো
সাত ভাই চম্পা জাগো রে
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে
তোরা যা লো সখি মথুরাতে
জাগো শ্যামা জাগো শ্যামা
বিজলি চাহনি কাজল কালো
ক্ষ্যাপা হাওয়াতে মোর
মোর হৃদি-ব্যথার
সাগর হতে চুরি
সুরের ধারার পাগল ঝোরা
নাচন লাগে ঐ তরুলতায়
দিল দোলা দিল দোলা
মা ষষ্ঠী গো, তোর গুষ্টির
হিন্দু-মোসলমান দুই ভাই
মোরা একবৃন্তে দুটি কুসুম
মানবতাহীন ভারত-শ্মশানে
উদার-ভারত !
ত্রিংশ কোটি তব সন্তান
আজ ভারতের নব আগমনী
নাইয়া ! ধীরে চালাও তরণী
প্রিয়ার চেয়ে শালি ভালো
কেরানী আর গরুর কাঁধ
শা আর শুঁড়ি মিলে
তোমায় আমায় ও প্রেয়সী
ছিটাইয়া ঝাল নুন এ ফাল্গুন
কহ প্রিয়ে, কেমনে এ রাতি
বুকের ভিতর জ্বলছে আগুন
একি হার-ভাঙা শীত এল মামা
আমি দেখন-হাসি
রাম-ছাগী গায় চতুরঙ্গ
আমার হরি-নামে রুচি
সে যে হারাইয়া গেছে
সামলে চলো পিছল পথে।