সতী–হারা উদাসী ভৈরব কাঁদে।
বিষাণ ত্রিশূল ফেলি’ গভীর বিষাদে।।
জটাজুটে গঙ্গা
নিস্তরঙ্গা,
রাহু যেন গ্রাসিয়াছে ললাটের চাঁদে।।
দুই করে দেবী–দেহ ধরি’ বুকে বাঁধে,
রোদনের সুর বাজে প্রণব–নিনাদে।
ভক্তের চোখে আজি ভগবান শঙ্কর –
সুন্দরতর হ’ল – পড়ি’ মায়া ফাঁদে।।
স
সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা – পথে এসো মোরা যাই
সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা – পথে এসো মোরা যাই।
সঙ্ঘ বাঁধিয়া চলিলে অভয় সে পথে মৃত্যু নাই।।
সঙ্ঘবদ্ধ হইলে তাদের সাথে,
ঐশী শক্তি সহায় হইয়া চলে হাত রেখে হাতে
সঙ্ঘবদ্ধ হইলে সারথি ভগবানে মোরা পাই।।
সঙ্ঘ শক্তি আসিলে সর্ব ক্লৈব্য হইবে লীন,
চল্লিশ কোটি মানুষ এই ভারতে
ভিন্ন হইয়া ডাকি ঠাঁই ঠাঁই, তাই মোরা পরাধীন।
মোরা সঙ্ঘবদ্ধ হই যদি একবার
জাতি ও ধর্ম ভেদ রবে নাকো আর
পাব সাম্য, শান্তি, অন্ন, বস্ত্র পুনঃ সবাই।।
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।।
সই প্রানের গোপন কথা মম
পিঞ্জরেরি পাখির সম
পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।।
পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয়
আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি):
আমি চাইতে নারি চোখে চোখে
পাছে মনের কথা জানে লোকে।
আমার একি হলো দায়
সখি লুকানো না যায়
সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।
সখি ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে
(সখি) ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে
দেখা হ’লে রাতে ফুল–বনে।।
কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
ও–পথে চোর–কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
এ বনফুল লাগি’ না আসে কাঁটা’ দলি’
আপনি যাব চলি’ বঁধুয়ার কুঞ্জ–গলি
বিনা মূল্যে বিকাইব ও–চরণে।।
সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
সখি আমার হরি বিনে হরি চন্দনে নাহি শান্তি।
ঐ দেখ্ দেখ্ শ্যাম দাঁড়িয়ে
ও নহে কদম তমাল পিয়াল পিয়া মোর ঐ দাঁড়িয়ে।
ও নহে তরুণ শাখা ও যে মোর বঁধু আসে বাহু বাড়িয়ে।
পুষ্প পাগল তরু কি কখনো দুলে গো অমন করিয়া
(ও যে) বনমালা গলে বনমালী মোর নাচিছে হেলিয়া দুলিয়া।
তোরা দেখে আয় তোরা দেখে আয়
অভিমানে শ্যাম আসিছে না কাছে ডেকে আয় তারে ডেকে আয়
তারি বিগলিত নীল লাবনি কি ঐ যমুনার কালো জলে
বিজলির আঁখি ইঙ্গিতে সে কি ডাকে মোরে মেঘ দলে।
সখি গো! তোরা যেতে দে মোরে যেতে দে আর দিস্নে বাধা
(ঐ) গহন কালোতে গাহন করিয়া জুড়াক আলোক রাধা॥
সকরুণ নয়নে চাহ আজি মোর বিদায়-বেলা
সকরুণ নয়নে চাহ আজি মোর বিদায়-বেলা
ভুলিতে দাও বিদায়-দিনে হেনেছ যে অবহেলা॥
হাসিয়া কহ কথা আজ হাসিতে যেমন আগেতে
হেরিবে মোর জীবন-সাঁঝে গোধূলি রঙের খেলা॥
হে বন্ধু, বন্ধুর পথে কে কাহার হয়েছে সাথি
তেমনি থাকিয়া যায় সব যাবার যে যায় সে একেলা॥
সইভালো ক’রে বিনোদ–বেণী বাঁধিয়া দে
সইভালো ক’রে বিনোদ–বেণী বাঁধিয়া দে
মোরবঁধু যেন বাঁধা থাকে বিননী–ফাঁদে।।
সইবাঁধিতে সে বাঁধন–হারা বনের হরিণ
সইজড়ায়ে দে জরীণ ফিতা মোহন ছাঁদে।।
সইচপল পুরুষ সে তাই কুরুশ কাঁটায়
রাখিব খোঁপারি সাথে বিঁধিয়া লো তায়।
তাহেরেশমি জাল বিছায়ে দে ধরিতে চাঁদে।।
প্রথম প্রণয়–রাগের মত আলতা রঙে
রাঙায়ে দে চরণ মোর এমনি ঢঙে।
সইপায়ে ধ’রে সে যেন লো আমারে সাধে।।
সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে
সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে?
সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো।
সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়,
স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে,
তা’রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।।
সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে
তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে।
সেই গভীর রাতে আবির হাতে
রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো
তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।
সই নদীর ধারে বকুল তলায় সুবাস শীতল ছায়
সই নদীর ধারে বকুল তলায় সুবাস শীতল ছায়
(সখি) আকুল তাহার আঁখি দুটি কাহার পানে চায়॥
সই যা না লো দাঁড়ায়ে, কাঁটা বিঁধেছে মোর পায়ে
তোরা দাঁড়া সখি ক্ষণেক, (সখি) ওকি হাসিস্ কেন হায়॥
আমার কলসিটি যে ভারি, ডালে বেঁধেছে মোর শাড়ি
তোরা বলিস ছলে হেরি ওরে (ওলো) ছি ছি একি দায়!
যদি হেরেই থাকি ওরে, তোরা দুষিস্ কেন মোরে
ওলো আমার আমি বশে নাই মোর (পাগল) আঁখির নেশায়॥
সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা
স্ত্রী : সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা।
পুরুষ : আহা ন্যাতা নয় গো শীতের কাঁথা এই যে আমি হেথা॥
স্ত্রী : সই-লো ওলো সই, আমার ছাই ফ্যালবার ভাঙাদ কুলো কই ?
পুরুষ : কুলোর বাতাস চুলোর ছাই
স্বামী বলো কিম্বা ভাই, (ওলো) এই যে তোমার আমি।
উভয়ে : মিলেছি রাজ যোটক দুয়ে
পুরুষ : গিঁটে বাত ওরে বাবা রে বাবা গিঁটে বাত
স্ত্রী : আর ফিকের ব্যথা, ওরে মা রে, মা আর ফিকের ব্যথা॥
ওলো সই বাপের বাড়ি যাব আমি এ ঘরে রব না,
পুরুষ : দেখো পুরুষের রাগ করে আনাগোনা
আমিও যাব শ্বশুর বাড়ি, ওরে রেমো নিয়ে আয় ব্যাগ ছাতা।
উভয়ে : নথে এবং নাথে এম্নি যুদ্ধ।
পুরুষ : গুঁতোগুতি
স্ত্রী : জড়াজড়ি
পুরুষ : ছাতা-ছড়ি
স্ত্রী : খুনতি-বেড়ী
উভয়ে : হাতা॥