নজরুল গীতিকা গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে। [৩] এই বইয়ে ১২৭টি গান ছিলো। এ গ্রন্থে জাতীয় সংগীত, ঠুংরী, হাসির গান, গজল, ধ্রুপদ, কীর্ত্তন, বাউল, ভাটিয়ালী, টপ্পা এবং খেয়াল সহ বিভিন্ন ধরনের গান সন্নিবেশিত হয়েছে। নজরুল গীতিকা গ্রন্থের কয়েকটি গান নজরুল রচিত “বনগীতি” সহ অন্য গ্রন্থেও পাওয়া যায়।
নজরুলগীতিকা-গ্রন্থে গ্রন্থিত গানসমূহ হলো:
অগ্রপথিক হে সেনাদল
অমর কানন
আমরা ছাত্রদল
আসিলে কে গো অতিথি
কোন্ অতীতের আঁধার ভেদিয়া
চল্ চল্ চল্
জাগ অনশন বন্দী
নদীর নাম সই অঞ্জনা
জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা
টলমল টলমল পদভরে
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
দুর্গম গিরি কান্তার মরু
মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম
যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল
বাজল কিরে ভোরের সানাই
আজ চোখের জলে প্রার্থনা
আজ সুদিনের আসল ঊষা
আঁধার রাতে কে গো একেলা
আধো ধরণী আলো
আমার কোন কুলে আজ
আমি শ্রান্ত হয়ে আসব যখন
আসল যখন ফুলের ফাগুন
একডালি ফুলে ওরে
কি হবে জানিয়া বল
কেন দিলে এ কাঁটা
কোথা চাঁদ আমার
কোন্ মাটিতে আমার কায়া
ছাড়িতে পরান নাহি চায়
তুমি আমায় ভালোবাস
দোষ দিওনা প্রবীণ জ্ঞানী
নামহারা ঐ গাঙের পারে
পিও শারাব পিও
ভোরের হাওয়া এলে
ভোরের হাওয়া ধীরে ধীরে
সখি বলো বঁধুয়ারে
সৃজন ভোরে প্রভু মোরে
হাজার তারের হার হয়ে গো
আমি তুরগ ভাবিয়া মোরগে
ডুবু-ডুবু ধর্ম-তরী ফাটঁল মাইন
থাকিতে চরণ মরণে কি ভয়
নাচ্চে মাড়োবার লালা
যদি শালের বন হত শালার
বদ্না গাডুতে গলাগলি করে
আজ বাদে কাল আসবে কিনা
আজি বাদল ঝরে
আমরা পানের নেশার পাগল
আমারে চোখ ইশারায়
আরো নূতন নূতনতর শোনাও
এ আঁখি জল মোছ পিয়া
এত জল ও কাজল চোখে
এ নহে বিলাস বন্ধু
ঐ লুকায় রবি লাজে
করুণ কেন অরুণ আঁখি
কানন গিরি সিন্ধু পার
কে বিদেশী বন-উদাসী
কেউ ভোলেনা কেউ ভোলে
কেন আন ফুল ডোর
কেমনে রাখি আঁখি বারি
চাঁদের মতন রুপ পেল
তরুণ প্রেমিক প্রণয় বেদন
দুরন্ত বায়ু পুরবৈঁয়া
দুলে আলো শতদল
নহে নহে প্রিয়
নিশিভোর হল জাগিয়া
পথে পথে ফের সাথে
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায়
ভুলি কেমনে আজো যে মনে
মুসাফির মোছরে আঁখি-জল
মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর
যে দিন লব বিদায়
রং মহলের রংমশাল মোরা
রুমুঝুমু রুমুঝুমু
রে অবোধ শূণ্য শুধু
রেশমী চুড়ির শিঞ্জিণীতে
বউ কথা কও বউ কথা কও
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
বাগিচার বুলবুলি তুই
বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে
আমি ছন্দ ভুল
কে শিব সুন্দর
গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু
দুলে চরাচর হিন্দোল দোলে
সাজিয়াছ যোগী
হিন্দোলি হিন্দোলি ওঠে নীল
আমি কি সুখে লো গৃহে রব
কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
আমার গহীন জলের নদী
আমার সাম্পান যাত্রী না লয়
ঐ ঘাসের ফুলে
কোন্ সুদুরের চেনা বাঁশীর
পউষ এলো গো
নিরুদ্দেশের পথে যেদিন
বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে
আজ নতুন করে পড়লো মনে
আজি এ কুসুম হার
আদর গরগর বাদর দরদর
আমার আপনার চেয়ে আপন
এই নীরব নিশীথ রাতে
কোন্ রমণীর মরম ব্যথা
আজকে দেখি হিংসা-মদের
আজি এ শ্রাবণ-নিশি
আজি ঘুম নহে নিশি জাগরণ
আসিলে কি অতিথি সাঁজে
এলে কি শ্যামল পিয়া
ওগো সুন্দর আমার
কার বাঁশরী বাজে
কে তুমি দুরের সাথি
খোলো খোলো খোলো গো আঁখি
ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে
ঘোর তিমির ছাইল
চল সখি জল নিতে
জনম জনম গেল
চাঁদ হেরিছে চাঁদ মুখ তার
ঝঙ্কার ঝাঁঝর বাজে
ঝরিছে অঝোর
তুমি মলিন বাসে থাক যখন
দেখা দাও দেখা দাও ওগো
নতুন নেশার আমার এ মদ
নাইয়া কর পার
পথিক ওগো চলতে পথে
পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু
পর জনমে দেখা হবে প্রিয়
ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান
মাধবী তলে চল
মোরা ছিনু একেলা
বাজারে জল-চুড়ি কিঙ্কিনী
স্মরণ পারের ওগো প্রিয়