ওরে ও মদিনা বলতে পারিস কোন সে পথে তোর

ওরে ও মদিনা বলতে পারিস কোন সে পথে তোর
খেলত ধূলা-মাটি নিয়ে মা ফাতেমা মোর।।

হাসান হোসেন খেলত কোথায় কোন সে খেজুর বনে
পাথর-কুচি কাঁকর ল’য়ে দুম্বা শিশুর সনে
সেই মুখকে চাঁদ ভেবে রে উড়িত চকোর।।

মা আয়েশা মোর নবীজীর পা ধোয়াতেন যথা
দেখিয়ে দে সে বেহেশত আমায় রাখ রে আমার কথা;
তোর প্রথম কোথায় আজান-ধ্বনি ভাঙলো ঘুমের ঘোর।।

কোন পাহাড়ের ঝর্ণা-তীরে মেষ চরাতেন নবী
কোন পথ দিয়ে রে যেতেন হেরায় আমার আল-আরবি’
তুই কাঁদিস কোথায় বুকে ধরে সেই নবীজীর গোর।।

ওরে ডেকে দে, দে লো

ওরে ডেকে দে, দে লো
মহুয়া বনে ফুল ফোটাত বাজিয়ে বাঁশি কে।
বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো
ঢেউ ওঠাতো ঝর্ণা জলে পাহাড়তলিতে।।

তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে
তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে,
বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে।।

আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল,
সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল।
আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না,
রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না –
আমি রইতে নারি নে হেরে সেই বন উদাসী কে লো।।

ওরে ডেকে দে, দে লো
ধারা : ঝুমুর, তাল : দ্রুত-দাদরা

Categories

ওরে আশ্রয়হীন শান্তিবিহীন

ওরে আশ্রয়হীন শান্তিবিহীন
আছে তোরও ঠাঁই আছে।
সকলেরে যিনি আশ্রয় দেন
তার চরণের কাছে॥
তোর যেখানে যা কিছু আশ্রয় ছিল
যে নিঠুর নিজে এসে ভেঙে দিল
সেই তোর তরে নিত্য পরম
আশ্রয় রচিয়াছে ॥

তাঁর ললাটের আগুনের দাহ
দেখেছিস তুই যবে
নামিবে এবার করুণ গঙ্গা
অমৃতে পূর্ণ হবে ॥
(জীবন অমৃতে পূর্ণ হবে।)

তুই নির্মল হলি আগুনে পুড়িয়া
এইবার চল জুড়াইতে হিয়া
ওরে মরণের মাঝে দেখরে পরম
অমৃতময় নাচে ॥
(যার চরণে মরণ লভেছে মরণ)

নাটকের নাম: বিদ্রোহী বাঙ্গালী
রচয়িতা: শ্রীযুক্ত রমেশ গোস্বামী
১৯৪০

Categories

ও শাপ্‌লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে

মেয়েঃ ও শাপ্‌লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে
নইলে দেবো না বাঁশি ফিরিয়ে।
ছেলেঃ খুলে বেণীর বিনুনী, খোঁপার চিরুনি
হাতে দে, যাব খানিক জিরিয়ে।
মেয়েঃ বন-পায়রার পালক দে কুড়িয়ে,
ছেলেঃ তোর চোখের চাওয়া পায়রা দিল উড়িয়ে,
দুজনেঃ মোদের ঝগড়া দেখে হালকা হাওয়া বহে ঝিরঝিরিয়ে।
ছেলেঃ তোর জোড়া ভুরু-ধনুক মোর নাসিকা বাঁশি লো
মেয়েঃ চাঁদের চেয়ে ভালো লাগে
কালো রূপের হাসি রে তোর কালো রূপের হাসি
ছেলেঃ ওই কালো চোখের হাসি।
মেয়েঃ তুই যাদু করে মন দিলি দুলিয়ে
দুজনেঃ মোদের কথা শুনে শিরিষ পাতা ওঠে শিরশিরিয়ে॥

সিনেমাঃ ‘অভিনয় নয়’

Categories

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্‌ আসমানি তাগিদ।।
তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে।
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের।
তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।

Categories

ও ভাইখাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি

ও ভাইখাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি।।
এই দেশেরই মাটি জলে এই দেশেরই ফুলে ফলে
তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি।।
এই মায়েরই প্রসাদ পেতে মন্দিরে এর এঁটো খেতে
তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি।
ও ভাইএই দেশেরই ধূলায় পড়ি’
মানিক যায় রে গড়াগড়ি
ও ভাইবিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো
এই দেশেরই জিয়ন–কাঠি।।
এই মাটি এই কাদা মেখে
এই দেশেরই আচার দেখে
সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি।
ও ভাইসন্ন্যাসিনী সকল দেশে জ্বাল্‌লো আলো
ভালোবেসে মাআঁধার রাতে এক্‌লা জাগে আগ্‌লে রে এই শ্মশান–ঘাঁটি ।।

Categories

ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল

ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন দাদা কথা কউতেছে তোর সনে
দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও বৌদি তোর চোখের জলের টানে
আমার দাদার সোনার তরী আসতেছে উজানে
দেখ বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

Categories

ও বন্ধু! দেখলে তোমায়, বুকের মাঝে জোয়ার

ও বন্ধু! দেখলে তোমায়, বুকের মাঝে জোয়ার – ভাঁটা খেলে।
আমি একলা ঘাটে কুলবধূ কেন তুমি এলে
বন্ধু, কেন তুমি এলে।।
ও বন্ধু, আমার অঙ্গে কাটা দিয়ে ওঠে বাজাও যখন বাঁশি
আমি খিড় কি দুয়ার দিয়ে বন্ধু, জল ভরিতে আসি
ভেসে’ নয়ন-জলে ঘরে ফিরি ঘাটে কলস ফেলে।।
আমার পাড়ায়, বন্ধু, তোমার নাম যদি নেয় কেউ
বুকে আমার দুলে ওঠে পদ্মা নদীর ঢেউ বন্ধু পদ্মা নদীর ঢেউ।
ওগো ও চাঁদ, এনো না আর
দু’কূল-ভাঙা এমন জোয়ার
কত ছল ক’রে জল লুকাই চোখের কাঁচা কাঠে আগুন জ্বেলে।।

Categories

ওরে কে বলে আরবে নদী নাই

ওরে কে বলে আরবে নদী নাই
যথা রহমতের ঢল বহে অবিরল
দেখি প্রেমে-দরিয়ার পানি,যেদিকে চাই।।
যাঁর ক্বাবা ঘরের পাশে আব-এ-জমজম
যথা আল্লা-নামের বাদল ঝরে হরদম,
যথা ঝরে হরদম-
যার জোয়ার এসে দুনিয়ার দেশে দেশে
(ওরে) পুণ্যের গুলিস্তান রচিল দেখিতে পাই।।
যার ফোরাতের পানি আজো ধরার ‘‘পরে
নিখিল নর-নারীর চোখে ঝরে
(ওরে) শুকায় না যে নদী দুনিয়ায়,
যার শক্তি বন্যার তরঙ্গ-বেগে
যত বিষণ্ন-প্রাণ ওরে আনন্দে উঠল জেগে
যাঁর প্রেম-নদীতে,যাঁর পুণ্য-তরীতে
মোরা ত’রে যাই।।

Categories

ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ

ওরে ও নতুন ঈদের চাঁদ
তোমার হেরে হৃদয় সাগর আনন্দে উন্মাদ।।
তোমার রাঙা তশতরিতে ফিরদৌসের পরী
খুশির শিরনি বিলায় রে ভাই নিখিল ভুবন ভরি
খোদার রহম পড়ছে তোমার চাঁদনি রূপে ঝরি।
দুখ ও শোক সব ভুলিয়ে দিতে তুমি মায়ার ফাঁদ।।
তুমি আসমানে কালাম
ইশারাতে লেখা যেন মোহাম্মাদের নাম।
খোদার আদেশ তুমি জান স্মরণ করাও এসে
যাকাত দিতে দৌলত সব দরিদ্রেরে হেসে
শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে শেখাও ভালবেসে।
তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ।।

Categories