রুমুঝুমু রুমুঝুম কে এলো নূপুর-পায়

রুমুঝুমু রুমুঝুম কে এলো নূপুর-পায়।
ফুটিলো শাখে মুকুল ও রাঙা চরণ-ধায়।।

সে নাচে তটিনী-জল টলমল টলমল,
বনের বেণী উতল ফুলদল মুরছায়।।

বিজরী জরীর আঁচল ঝলমল ঝলমল,
নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়।।

দুলিছে মেখলা-হার শ্যামলী মেঘ-মালার,
উড়িছে অলক কা’র অলকার ঝরোকায়।।

তালিবন থৈ তাথৈ করতালি হানে ঐ
কবি, তোর তমালী কই- শ্বসিছে পূবালী বায়।।

Categories

রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে

রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে
নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি’ বন-মাঝে।।
বারণ করে তায়
লতিকা ধরি’ পায়
ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে।।
আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে
মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে।
সে রূপ হেরি’ হায়
মুরলী থামিয়া যায়
পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে।।

Categories

রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল

রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল।
আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে,
চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে –
আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥
শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি,
শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি –
সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, –
যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥
তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে,
অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে;
মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥

Categories

রাধাকৃষ্ণ নামের মালা

দ্বৈতঃ রাধাকৃষ্ণ নামের মালা
জপ দিবানিশি নিরালা॥
পুরুষঃ অগতির গতি গোকুলের পতি
স্ত্রীঃ শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি দেয় যে শ্রীমতী
পুরুষঃ ভব-সাগরে কৃষ্ণ নাম ধ্রুবজ্যোতি
দ্বৈতঃ সেই কৃষ্ণের প্রিয়া ব্রজবালা॥
স্ত্রীঃ পাপ-তাপ হবে দুর হরির নামে
শ্রীমতী রাধা যে হরির বামে
পুরুষঃ ঐ নাম জপি’ যাবি গোলকধামে
দ্বৈতঃ সেই রাধা নাম হবে দুঃখ জ্বালা॥
স্ত্রীঃ সাধনে সিদ্ধ হবে রাধা ব’লে ডাকো
পুরুষঃ কৃষ্ণ-মূরতি হৃদি-মন্দিরে রাখো
দ্বৈতঃ জপ রে যুগল নাম রাধাশ্যাম
এই আঁধার জগৎ হবে আলো॥

Categories

রাধা-তুলসী, প্রেম-পিয়াসি, গোলকবাসী শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ

রাধা-তুলসী, প্রেম-পিয়াসি, গোলকবাসী শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ।
নাম জপ মুখে, মূরতি রাখ বুকে ধ্যান দেখ তারি রপ মোহন।।
অমৃত রসঘন কিশোর-সুন্দর,
নব নীরদ শ্যাম মদন মনোহর-
সৃষ্টি প্রলয় যুগল নূপুর শোভিত যাহার রাঙা চরণ।।
মগ্ন সদা যিনি লীলারসে,
যে লীলা-রস ভরা গোপী-কলসে,
কান্না-হাসির আলো-ছায়ার মায়ায় যাহার মোহিত ভূবন।।

Categories

রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল

রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল।
কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল
কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥
যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী,
কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥
দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার,
বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার।
কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী;
শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল।
কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥

Categories

রাঙামাটির পথে লো মাদল বাজে, বাজে বাঁশের বাঁশি

রাঙামাটির পথে লো মাদল বাজে, বাজে বাঁশের বাঁশি,
বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো, মন লাগে না কাজে লো,
রইতে নারি ঘরে ওলো প্রাণ হলো উদাসী লো ।।

মাদলীয়ার তালে তালে অঙ্গ ওঠে দুলে লো,
দোল লাগে শাল পিয়াল বনে, নোটন খোঁপার ফুলে লো,
মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে মাতাল চাঁদের হাসি লো ।।
চোখে ভালো লাগে যাকে, তারে দেখবো পথের বাঁকে,

তার চাঁচড় কেশে বেঁধে দেবো ঝুমকো জবার ফুল
তার গলার মালার কুসুম কেড়ে করব কানের দুল।
তার নাচের তালের ইশারাতে বলবো ভালোবাসি লো ।।

Categories

রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে

রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
সে তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥
পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায়
সে কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥
অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে
আমার কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে।
মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে
(সে) জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥

Categories

রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়

রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়!
ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥
সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া,
নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া;
আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো,
বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥
একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর,
এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর,
কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় –
প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥
দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই,
পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই;
রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ,
গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥

Categories

রাই বিনোদিনী দোলো ঝুলন দোলায়

রাই বিনোদিনী দোলো ঝুলন দোলায়॥
একা লাগে না ভালো
সাথে এসে দোলো শ্যামরায়॥
রাঙা চরণ দেখিতে পাব বলে
ওগো দাঁড়াইয়া এই তরুতলে
শ্যাম বাঁধিয়া বাহু ডোরে
আশ্রয় দাও মোরে একা বড় ভয় পায়॥

চলচ্চিত্রঃ ‘বিদ্যাপতি’

Categories