আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার মনে।
দুলে গো আমার ঘুমে – জাগরণে॥
হতাশ-ভরা বাতাস বহে,
আমার কানে কি কথা কহে;
দিনগুলি মোর যায় যে ঝ’রে যায় –
ওগো যায় যে ঝ’রে ঝরা পাতার সনে॥
গিয়াছে চলিয়া সুখে যাহারা ছিল গো সাথি,
গিয়াছে নিভিয়া জ্বলিতেছিল যে শিয়রে বাতি।
স্মৃতির মালার ফুল শুকাইয়া,
একে একে হায় পড়িছে ঝরিয়া;
বিদায়-বেলা শুনিয়ে বাঁশি ক্ষণে ক্ষণে॥
আ
আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
গাফেলতির ঘুম ভেঙে দাও হউক নিশি অবসান॥
আল্লাহ নামের যে তক্বীরে
ঝর্না বহে পাষাণ চিরে
শুনি’ সে তক্বিরের আওয়াজ জাগুক আমার পাষাণ প্রাণ॥
জামাত ভারি জমবে এবার এই দুনিয়ার ঈদগাহে,
মেহেদী হবেন ইমাম সেথায় রাহ্ দেখাবেন গুমরাহে।
আমি যেন সেই জামাতে
সামিল হতে পারি প্রাতে
ডাকে আমায় শহীদ হতে সেথায় যতো নওজোয়ান॥
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়।
বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।।
আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায়
কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায়
কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায়
কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।।
কেন এ ব্যথা এ আকুলতা
পরের লাগি এ পরান পুড়ে?
মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে
আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।