ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়

ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো)
জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও।
বনের পাখী ধীরে গাহ গান
দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।।

এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল
এখনো আঁধারে হাসি ছলছল
প্রভাত রবি শুকায়ো না তায়
ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।।

সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন
ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন।
ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি
ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।

Categories

ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি

ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি –

করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।।
ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে
নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে;
বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।।
কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী,
উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্‌ মর্মরি’।
গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় –

কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড়
আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।

Categories

ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম

ঘুমাও,ঘুমাও,দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম
কেউ জেগে কাঁদে,কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥
দেখিতে এলাম হ’য়ে কুতুহলী
চাঁপা-ফুল দিয়ে তৈরী পুতুলী
দেখি,শয্যায় স্তূপ হ’য়ে আছে জোছনার কুমকুম
আমি নই, ঐ কলঙ্কী চাঁদ নয়নে হেনেছে চুম্ ।।
রাগ করিও না, অনুরাগ হ’তে রাগ আরো ভালো লাগে,
তৃষ্ণাতুরের কেউ জল চায় কেউ বা শিরাজি মাগে।
মনে কর, আমি লোলুপ বাতাস
চোর-জোছনা, ফুলের সুবাস
ভয় নাই, আমি চলে যাই ডাকি’ নিশীথিনী নিঃঝুম।।

Categories

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না,
সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।।
যে সহস্র করে রূপরস দিয়া
জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া
তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।।
যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয়
তাই হাত পেতে নাও।
বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয়
কবিরে ঘুমাতে দাও।
অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি
সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি
আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।

Categories

ঘরে কে গো ? বলি ঘরে কে

সংলাপঃ পুরুষঃ ঘরে কে গো ? (দরজায় টোকার শব্দ)
বলি ঘরে কেঃ (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি –
ও হো-হো-হো-হো …

পুরুষ : ঘরে কে গো ? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি?
এ যে মোর গোয়ালের গাই।
স্ত্রী : ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়,
দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই।
পুরুষ : দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ
স্ত্রী : তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট।
পুরুষ : তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি
স্ত্রী : আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই।
পুরুষ : ওগো শুনছো ! শোনো শোনো শোনো না – সত্যি সত্যি চললে,
নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)।
স্ত্রী : অ্যা, তাই নাকি!
পুরুষ : হ্যা – গো – হ্যা।
স্ত্রী : কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি
ওগো এই আমি আসিতেছি
পুরুষ : না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি
স্ত্রী : আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি।
পুরুষ : এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥
বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥

Categories

ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর

ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর।
শাওন-ধারা ঘন-শ্যাম-বরণ চরণ লাগি’ ঝর ঝরে অঝোর্‌।।
কুহু কেকা গাছে চম্পা শাখে (গো)
বিরহী বেণু ডাকে প্রিয়তমাকে১ (গো),
মেঘ-মাঝে খুঁজে ফিরে সৌদামিনী কোথা লুকালো প্রিয়-ঘন চিতচোর।।
রহে না মন ঘরে অন্ধকারে
অভিসারে যেতে চায় বন-‘পারে,
ঝুরে মৌন ব্যথায় কাননে কেতকী কাঁদে চিত-চাতকী কোথা শ্যাম কিশোর।।

Categories