ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি

ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি?
ভোরের হাওয়ায় কান্না পাওয়ায় তব ম্লান ছবি
নীরব কেন কবি।।

যে বীণা তোমার কোলের কাছে
বুক–ভরা সুর ল’য়ে জাগিয়া আছে,
তোমার পরশে ছড়াক হরষে
আকাশে -বাতাসে তা’র সুরের সুরভি
নীরব কেন কবি।।

তোমার যে প্রিয়া গেল বিদায় নিয়া অভিমানে রাতে –
গোলাপ হয়ে কাঁদে তাহারই কামনা উদাস–প্রাতে।
ফিরে যে আসিবে না ভোলো তাহারে
চাহ তাহার পানে দাঁড়ায়ে যে দ্বারে,
অস্ত–চাঁদের বাসনা ভুলাতে
অরুণ–অনুরাগে উদিল রবি

নীরব কেন কবি।।

Categories

ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল

ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
‌’যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
আল্লাহু আল্লাহু।।
‘ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
তাঁরি নাম গাহি ‘পিউ পিউ’ কুহু কুহু-
আল্লাহু আল্লাহু।।
‘ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?’
কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি’ যে খুবরু
আল্লাহু আল্লাহু।।
যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
আল্লাহু আল্লাহু।।

ফুল বীথি এলে অতিথি

স্ত্রী: ফুল বীথি এলে অতিথি
চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি’ চঞ্চল তব পায়।
পুরুষ: কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
স্ত্রী: হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
পুরুষ: পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
অমিলন প্রেম-পারিজাত,
স্ত্রী: কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
পুরুষ: মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
উভয়ে:বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।

Categories

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।

ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়

ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়
ফুল-ফোটাতে কে এলে ফুল ঝরানো সাঁঝ-বেলায়।।
আজ কি মোর দিনের শেষে
উঠলো চাঁদ মধুর হেসে’
কৃষ্ণা তিথির তৃষ্ণা মোর মিটলো ওই জোছনায়।।
আজ যে আঁখি অশ্রুহীন কি দিয়ে ধোয়াই চরণ’
সুন্দর বরের বেশে এলে কি আমার মরণ’!
দেখ বসন্তের পাখি
কোয়েলা গেছে ডাকি
আনন্দের দূত তুমি ডাকিয়া ফুল ফোটায়।।

Categories

ফুটলো যেদিন ফাল্গুনে, হায়, প্রথম গোলাপ -কুঁড়ি

ফুটলো যেদিন ফাল্গুনে, হায়, প্রথম গোলাপ -কুঁড়ি
বিলাপ গেয়ে বুলবুলি মোর গেল কোথায় উড়ি।।
কিসের আশায় গোলাপ বনে
গাইতো সে গান আপন মনে,
লতার সনে পাতার সনে খেতো লুকোচুরি (হায়)
সেই লতাতে প্রথম প্রেমের ফুটলো মুকুল যবে
পালিয়ে গেল ভীরু পাখি অমনি নীরবে।
বাসলে ভালো যে জন কাঁদে
বাঁধবো তা’রে কোন সে ফাঁদে,
ফুল নিয়ে তাই অবসাদে বনের পথে ঘুরি (হায়)।।

Categories

ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি

ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
মোরে কাঁদায় নিতি যে ফিরিবে না আর।
ফিরায়েছি যা’য় কাঁদাইয়া হায়
সে কেন কাঁদায় মোরে বারেবার।।
তারই দেওয়া ফুলমালা, যারে দলিয়াছি পায়
সেই ছিন্নমালা কুড়ায়ে নিরালা আজি রাখি হিয়ায়।
বারে বারে ডাকি প্রিয় নাম ধ’রে তা’র।।
হানি’ অবহেলা যারে দিয়েছি বিদায়
আজি তারি স্মৃতি, সে কোথায় সে কোথায়।
জ্বালি’ নয়ন-প্রদীপ জাগি বাতায়নে
নিশি ভোর হয়ে যায় বৃথা জাগরণে
আজি স্বর্গ শূন্য মোর তারি বিহনে
কাঁদি আকাশ বাতাস মোর করে হাহাকার।।

Categories

ফিরে এসো ফিরে এসো প্রিয়তম

ফিরে এসো ফিরে এসো প্রিয়তম
তেমনি চাহিয়া আছে নিশীথের তারাগুলি।
লতা-নিকুঞ্জে কাঁদে আজো বন-বুলবুলি।।
ঘুমায়ে পড়েছে সবে, মোর ঘুম নাহি আসে
তুমি যে ঘুমায়েছিলে সেদিন আমার পাশে
সাজানো সে গৃহ তব, ঢেকেছে পথের ধূলি।।
আমার চোখের জলে মুছে যায় পথ-রেখা
রোহিনী গিয়াছে চলি’ চাঁদ কাঁদে একা-একা
কোন দূর তারালোকে কেমনে রয়েছ ভুলি’।।

Categories

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
ঘরে আয় ফিরে আয়।।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই-
কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
ফিরে আয় ঘরে আয়।।
ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
অভিমানী ফিরে আয়।।

Categories

ফিরিয়া এসো এসো হে ফিরে

ফিরিয়া এসো এসো হে ফিরে
বঁধুএ ঘোর বাদলে নারি থাকিতে একা।
হায়গগনে মনে আজি মেঘের ভিড়
যায়নয়ন-জলে মুছে কাজল-লেখা।।
ললাটে কর হানি’ কাঁদিছে আকাশ
শ্বসিছে শন-শন হুতাস বাতাস।
তোমারি মত ঝড় হানিছে দ্বারে কর,
খোঁজেবিজলি তোমারি পথ-রেখা।।
মেঘেরে সুধাই তুমি কোথায়
কাঁদন আমার বাতাসে ডুবে যায়!
ঝড়ের নূপুর পরি’ রাঙা পায়
শ্যামল-সুন্দর দাও দেখা।।

Categories