লাইলী তোমার এসেছে ফিরিয়া
মজনু গো আঁখি খোলো।
প্রিয়তম! এতদিনে বিরহের
নিশি বুঝি ভোর হলো।।
মজনু! তোমার কাঁদন শুনিয়া মরু-নদী পর্বতে
বন্দিনী আজ ভেঙেছে পিঞ্জর বাহির হয়েছে পথে।
আজি দখিনা বাতাস বহে অনুকূল,
ফুটেছে গোলাপ নার্গিস ফুল,
ওগো বুলবুল, ফুটন্ত সেই
গুলবাগিচায় দোলো।।
বনের হরণ-হরিণী কাঁদিনী পথ দেখায়েছে মোরে,
হুরী ও পরীরা ঝুরিয়া ঝুরিয়া চাঁদের প্রদীপ ধ’রে
পথ দেখায়েছে মোরে।
আমার নয়নে নয়ন রাখিয়া
কি বলিতে চাও, হে পরান-পিয়া!
নাম ধ’রে ডাকো ডাকো মোরে স্বামী
ভোলো অভিমান ভোলো।।
ল
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছে আমার সনে
লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছে আমার সনে
লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্নি রাঙা, চরণ লেগে
যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
চপল হাসি চম্কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
মনের মাঝে যেম্নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্নি মুনি,
ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।
লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি
লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি।
লায়লী কোথায়? আমি শুধু দেখি লা এলা’র জ্যোতি।।
পাথর খুঁজিয়া ফিরিয়াছি প্রিয়া প্রেম-দরিয়ার কূলে,
খোদার প্রেমের পরশ-মানিক পেলাম কখন ভুলে।
সে মানিক যদি দেখ একবার
মজনুরে তুমি চাহিবে না আর
জুলেখা-ইয়ুসুফ লাজ মানে হেরি’ তাহার খুব -সুরতি।।
মজনুরে ও যে লায়লী ভোলায় সে যে কত সুন্দর
বুঝিবে লায়লী যদি তুমি তারে নেহার এক নজর।
সাধ মিটিবে না হেথা ভালোবেসে,
চল চল প্রিয়া লা এলা’র দেশে
নিত্য মিলনে ভুলিব আমরা এই বিরহের ক্ষতি।।
লাম্ পম্ লাম্ পম্, লাম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্
লাম্ পম্ লাম্ পম্, লাম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্।
দুর্বল ডান্সের লম্-ফম্, ফম্ ঝম্-ফম্ ভুড়ি কম্্পম্
মারে ডম্ফাই দিল্লী বোম্বাই হনুলুলু হংকং॥
বাঁশের কঞ্চি এগার ইঞ্চি নাচে মেমের বোন্ঝি,
হ্যাঁদা-খ্যাঁদার পরান ছ্যাঁদা, ভিজল ঘামে গেঞ্জি,
তার ভিজল ঘামে গেঞ্জি।
কেৎরে চক্ষু দেখে মট্কু, আরে ও-চামারু ছক্কু –
সে চোম্ড়ায় দাড়ি গুম্ফম্॥
ল্যাংড়া-লেংড়ি হিল্লায় ঠেংরি, উস্খুস্, করে চ্যাংড়া-চেংড়ি।
যেন এই ট্যাংরার হাটে গল্দা চিংড়ি ঝুড়িতে খেলে পিং-পং॥
ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
তার পীত বসন দিয়ে ক’রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
তার বনমালার বাসি ফুলে ভ’রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।