তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
তোর চরণের আলতা লেগে
পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
উড়ে এলি’ দেশান্তরী
তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।
ত
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত
তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত।
যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।।
কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্
নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ
প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।।
কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে
আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে।
মোর অন্তরের হেরা গুহায়
আজো তোমার ডাক শোনা যায়
জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত-
হজরত তোমারি সুরত।।
যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে
আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে।
তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি
আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত
হজরত তোমার মুহব্বত।।
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে
মোর হাত দু’টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে।।
সিন্ধু জলের জোয়ার সম, ছন্দ নামে অঙ্গে মম
রূপ হলো মোর নিরুপম তোমার প্রেমের সুরের অমৃতে।।
আমার আঁখির পল্লবদল উদাস অশ্রুভারে,
ভোরের করুণ তারা মতো কাপেঁ বারেবারে।
আনন্দে ধীর বসুন্ধরা, হলো চপল নৃত্যপরা
ঝরে রঙের পাগল ঝোরা তোমার চরণ রঞ্জিতে।।
তুমি আমার সকালবেলার সুর
তুমি আমার সকালবেলার সুর
হৃদয় অলস–উদাস–করা অশ্রু ভারাতুর।।
ভোরের তারার মত তোমার সজল চাওয়ায়,
ভালোবাসার চেয়ে সে যে কান্না পাওয়ায়
রাত্রি–শেষের চাঁদ তুমি গো বিদায়–বিধুর।।
তুমি আমার ভোরের ঝরা ফুল
শিশির–নাওয়া শুভ্র–শুচি পূজারিণীর তুল।
অরুণ তুমি, তরুণ তুমি, করুণ তারো চেয়ে
হাসির দেশে তুমি যেন বিষাদ–লোকের মেয়ে
তুমিইন্দ্র–সভার মৌন–বীণা নীরব নূপুর।।
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা।
তব ডাক শুনে ছুটে যাই বনে আমি না মানি কুলের বাধা।।
শূন্য প্রাণের গাগরি ঘিরে
নিতি আসি রস-যমুনার তীরে
অঙ্গ ভাসায়ে তরঙ্গ-নীরে শুনি তব বাঁশি সাধা।।
যুগ-যুগান্ত অনন্ত কাল হৃদয়-বৃন্দাবনে
তোমাতে আমাতে এই লীলা, নাথ! চলেছে, সঙ্গোপনে।
মোর সাথে কাঁদে প্রেম-বিগলিতা
ভক্তি ও প্রীতি বিশাখা-ললিতা।
তোমারে যে চায়, মোর মতো, হায়! সার শুধু তার কাঁদা।।
তুমি আঘাত দিয়ে মন ফেরাবে এই কি তোমার আশা?
তুমি আঘাত দিয়ে মন ফেরাবে এই কি তোমার আশা?
আমার যে নাথ অনন্ত সাধ, অনন্ত পিপাসা।।
দাহন তুমি করবে যত
প্রেমের শিখা জ্বলবে তত
সে যে আমার মন্ত্র পূজার তোমার কঠিন ভাষা।।
ফুলমালী! ফুলের শাখা কাটো যত পার,
আহত সেই ফুল-শাখাতে ধরবে কুসুম আরো।
হানলে আঘাত নিথর জলে,
অধীর বেগে ঢেউ উথলে,
তোমার অবহেলায় বিপুল হ’ল ভীরু ভালোবাসা।
আমার ভীরু ভালোবাসা।।
(তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে
(তুই) মা হ’বি না মেয়ে হ’বি দে মা উমা ব’লে
তুই আমারে কোল্ দিবি, না আমিই নেব কোলে।।
মা হয়ে তুই মা গো আমার,
নিবি কি মোর সংসার-ভার।
দিন ফুরালে আসব ছুটে, মা তোর চরণ-তলে।
(তুই) মুছিয়ে দিবি দুঃখ-জ্বালা, তোর স্নেহ-অঞ্চলে।।
এক হাতে মোর পূজার থালা ভক্তি-শতদল।
(ও মা) আর এক হাতে ক্ষীর নবনী, কি নিবি তুই বল্।
ওমা কি নিবি তুই বল্।
মেয়ে হ’য়ে মুক্ত কেশে,
খেল্বি ঘরে হেসে হেসে,
ডাকলে মা তুই ছুটে এসে, জড়াবি মোর গলে।
(তোরে) বক্ষে ধ’রে শিব-লোকে যাব আমি চলে।।
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ্ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
জীন পরী ফেরেশ্তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোরে
ত্রিংশ কোটি তব সন্তান ডাকে তোরে
ভুলে আছিস দেশ জননী কেমন ক’রে॥
ব্যথিত বুকে মাগো তোমার মন্দির গড়ি
করি পূজা আরতি মাগো যুগ যুগ ধরি’
ধূপ পুড়িয়া মাগো চন্দন শুকায়ে যায়
এসো মা এসো পুন রানীর মুকুট প’রে॥
দুঃখের পসরা মা আর যে বহিতে নারি
কাঁদিয়া কাঁদিয়া শুকায়েছে আঁখি-বারি
এ গ্লানি লাজ মাগো সহিতে নাহি পারি
বিশ্ব বন্দিতা এসো দুখ-নিশি-ভোরে॥
অতীত মহিমা ল’য়ে এসো মহিমাময়ী
হীনবল সন্তানে কর মা ভুবনজয়ী
দুখ তপস্যা মা কবে তব হবে শেষ
আয় মা নব আশা রবির প্রদীপ ধ’রে॥
তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম
তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম –
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নারেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্তী তাঞ্জাম।
মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।