প্রজাপতি প্রজাপতি

প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও,
ওই পাখা দাও সোনালী-রূপালী পরাগ মাখা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা

মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে
প্রজাপতি, তুমি নিয়ে যাও সাথী করে তোমার সাথে।
তুমি হাইয়ায় নেচে নেচে যাও
আর তোমার মত মোরে আনন্দ দাও,
এই জামা ভাল লাগে না দাও জামা ছবি-আঁকা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।

Categories

পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া

পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া।
যাও রে বইয়া এই গরীবের সালামখানি লইয়া।।

কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই,
সারা জনম সাধ ছিল যে, মদিনাতে যাই ( রে ভাই)।
মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।

তোমার পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি,
লইয়া যাওরে এই নিরাশের দীর্ঘ নিশ্বাসখানি।
নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।

মা ফাতেমা হযরত আলীর মাজার যেথায় আছে,
আমার সালাম দিয়া আইস তাঁদের পায়ের কাছে।
কাবায় মোজানাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।

পরদেশি বঁধুয়া

পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে
আসিলে এতদিন কেমনে পথ চিনে।।
তোমারে খুঁজিয়া কত রবি-শশী
অন্ধ হইল প্রিয় নিভিল তিমিরে
তব আশে আকাশ-তারা দ্বীপ জ্বালি’
জাগিয়াছে নিশি ঝুরিয়া শিশিরে।
শুকায়েছে স্বরগ দেবতা তোমা বিনে।।
কত জনম ধরি’ ছিলে বল পাসরি’
এতদিনে বাঁশরি বাজিল কি বিপিনে।।

Categories

প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই

প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি খয়েরী টিপ,
জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ,
মালা চন্দন দিয়ে মোর থালা সাজাই।।
তুমি আসিবে বলে সুদূর অতিথি
জাগে চাঁদের তৃষা লয়ে কৃষ্ণা তিথি,
কভু ঘরে আসি কভু বাহিরে চাই।।
আজি আকাশে বাতাসে কানাকানি,
জাগে বনে বনে নব ফুলের বাণী,
আজি আমার কথা যেন বলিতে পাই।।

Categories

প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্‌মি শাড়ি

প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্‌মি শাড়ি।
আজি তোমার রূপের সাথে চাঁদের আড়ি।।
প’রো ললাটে কাঁচপোকার টিপ,
তুমি আল্‌তা প’রো পায়ে হৃদি নিঙাড়ি’।।
প্রজাপতির ডানা-ঝরা সোনার টোপাতে,
ভাঙা ভুরু জোড়া দিও রাতুল শোভাতে।
বেল-যূথিকার গ’ড়ে মালা প’রো খোঁপাতে
দিও উত্তরীয় শিউলি-বোঁটার রঙে ছোপাতে,
রাঙা সাঁঝের সতিনী তুমি রূপ-কুমারী।।

Categories

প্রেম নগরকা ঠিকানা করলে প্রেম নগরকা ঠিকানা

প্রেম নগরকা ঠিকানা করলে প্রেম নগরকা ঠিকানা।
ছোড় করিয়ে দোদিন কা ঘর ওহি রাহপে জানা।।
দুনিয়া দওলত হ্যায় সব মায়া
সুখ দুখ দো হ্যায় জগ কা কায়া
দুখকো তু প্রেম সে গলে লাগালে আগে না পছতানা।।
আতি হ্যায় যব রাত আঁধেরি
ছোড় তু মায়া বন্ধন-ভারি
প্রেম নগর কি কর তৈয়ারি, আয়া হ্যায় পরোয়ানা।।

Categories

প্রেম ক্যাটারী লগ্‌ গ্যয়ি তোরে কারী কারী

প্রেম ক্যাটারী লগ্‌ গ্যয়ি তোরে কারী কারী
প্যয়ারে ভাঁওরে জোলাৎ হ্যায় যো নিসদিন ডারী ডারী।।
শুনা প্যয়ারে ভ্যঁয়র ও প্রেম-কাহানী
বাগমে যাতা হ্যায় প্রেম সে পাতা হ্যায় কয়া মানমেঁ ঠানী।।
ফুলো সে ক্যয়া তুঝকো প্রেম হুয়া হ্যায়
মেরী তারহা ক্যায়া তু প্রেমী বানা হ্যায়
ত্যড়পত হ্যায় কিসকী তু বরহা মে নিসদিন
পাই হ্যায় কিসসে হুয়ে প্রেমনিশানী।।
ফুলমে হ্রায় গুলসে গ্যলো কি রং গাৎ
মিলতি হ্যায় ইনসে প্রীতম কি প্যারী সুরাত
ইসসে ম্যায় কারতিহু ফুলসে উলফত
ফিরত হু ব্যন ব্যন ব্যনকে দিওয়ানী।।

Categories

প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ

প্রিয়ে … বলি ও-প্রিয়ে … তুমি দেখ …।
[কাঁপা-কন্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]

পুরুষ : প্রিয়ে! বলি, ও প্রিয়ে! তুমি দেখ!
দেখ বিরহের দাবানল জ্বলে গোঁফ-দাড়িতে।
স্ত্রী : ও-স’রে যা, সে আগুন লেগে যাবে শাড়িতে॥
পুরুষ : একে ভীষণ ফাগুন মাস
স্ত্রী : ওগো তাই বুছি হাঁসফাঁস ?
পুরুষ : কাপাস ফলের মত ফেটে পড়ে হিয়া গো,
স্ত্রী : প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে ছড়াইয়া গো,
উভয়ে : রব্ ওঠে ভোঁস্-ভাঁস্ হৃদি-রেলগাড়িতে॥
পুরুষ : আজি এ বিরহের কাঠ-ঠোক্রা, ঠোক্রায় প্রেমের টাকে,
স্ত্রী : ওগো এ হেন বেয়াধি হলে টাকে, মধ্যম-নারায়ণ তেল মাখে।
পুরুষ : হায়-হায়-হায়-হায়-হায়
আমাদের মাঝে কে রচিবে মিলনের সাঁকো।
স্ত্রী : থাক্ থাক্, পুরুতঠাকুর ইঞ্জিনিয়ার
তারে তাড়াতাড়ি ডাকো, ডাকো, একবার ডাকো না ?
উভয়ে : আগুন লাগিল ওরে দাড়ি আর শাড়িতে
যুগল মিলন হ’ল ধেড়ে আর ধাড়িতে॥

Categories

প্রিয়তম হে, বিদায়

প্রিয়তম হে, বিদায়
আর রাখিতে নারি, আশা-দীপ নিভে যায় দুরন্ত বায়।।
কত ছিল বলিবার, হায় হ’লো না বলা
ঝুঁরিতেছে চামেলির বন উতলা
যেন অনন্ত দিনের দিকে হায় হায়।।
কে কাঁদে দিকে দিকে হায় হায়।।
রহিল ছড়ানো মোর প্রাণের তিয়াস হুতাস পবনে;
জড়ানো রহিল মোর করুণ প্রীতি ধূসর গগনে।
তুমি মোরে স্মরিও
যদি এই পথে কোনদিন চলিতে প্রিয়
নিশিভোরে ঝরা ফুল দ’লে যাও পায়।।

Categories

প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর

প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।।
তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়!
দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়;
আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।।
তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ,
তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ।
দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে
কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে
বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।

Categories