আজো ফোটেনি কুঞ্জে মম কুসুম ভোমরাকে যেতে বল।
সখি গুঞ্জরি ফেরে কেন কুঞ্জে বৃথাই এত ছল।।
কত কি শুনিয়ে যায়, গুনগুনিয়ে হায়-
পাতার ঝরকায়, ঘোরে সে অবিরল।।
আমার প্রাণের ভেতর কেন উঠায় সে ঝড়
তারে ফেরালে ফেরে না হাসে কেবল,
সে ফিরিয়া গেলে চোখে আসে জল।
একি হল দায়, আঁখি নাহি চায়
না দেখিলে তায়, প্রাণ পাগল।।
kazinazrulislam
আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া
আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
চম্পা কুঞ্জে আজো গুঞ্জে ভ্রমরা, কুহরিছে পাপিয়া।।
প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়,
প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভে যায়,
বিরহী এসো ফিরিয়া।।
তোমারি পথ চাহি হে প্রিয় নিশিদিন
মালার ফুল মোর ধূলায় হ’ল মলিন
জনম গেল ঝুরিয়া।।
আকুল ব্যাকুল ঢুঁড়ত ফিঁরু শ্যাম তুম বিনা রহন না জায়
আকুল ব্যাকুল ঢুঁড়ত ফিঁরু শ্যাম তুম বিনা রহন না জায়।
তুম হারে কারণ সব কুছ ছোড়ি প্রীতি ছোড়ন না যায়॥
ক্যিউ তরসাও অন্তরযামী
আওয়ো মিলো কির্পা কর স্বামী
নিঁদ নাহি র্যয় না দিন নাহি চ্যয় না, বিরহ কী আগ জ্বালায়॥
আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই
আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই।
ওই পাহাড়ের ঝর্না আমি, ঘরে নাহি রই গো
উধাও হ’য়ে বই।।
চিতা বাঘ মিতা আমার গোখ্রো খেলার সাথি
সাপের ঝাঁপি বুকে ধ’রে সুখে কাটাই রাতি
ঘূর্ণি হাওয়ার উড়্নি ধ’রে নাচি তাথৈ থৈ গো ‘আমি’
নাচি তাথৈ থৈ।।
আকাশে ভোরের তারা মুখ পানে চেয়ে আছে
আকাশে ভোরের তারা মুখ পানে চেয়ে আছে
ঝরা-ফুল অঞ্জলি পড়ে আছে,পা’র কাছে।
দেবতা গো,জাগো জাগো জাগো।।
আঁধার-ঘোমটা খুলি শতদল আঁখি তুলি’
পৃথিবী প্রসাদ যাচে দেবতা গো,জাগো।।
কপোত-কণ্ঠে শোন তব বন্দনা বাজে
তোমারে হেরিতে ঊষা দাঁড়ায় বধূর সাজে।
দেবতা,তোমার লাগি’আজি আছি নিশি জাগি’’
ভীরু এ মনের কলি হের,দল মেলিয়াছে।
দেবতা গো,জাগো।।
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়।
আমার কথার ফুল গো,
আমার গানের মালা গো-
কুড়িয়ে তুমি নিও।।
আমার সুরের ইন্দ্রধনু
রচে আমার ক্ষণিক তনু,
জড়িয়ে আছে সেই রঙে মোর
অনুরাগ অমিয়।।
আমার আঁখি-পাতায় নাই দেখিলে
আমার আঁখি-জল,
আমার কণ্ঠের সুর অশ্রুভারে
করে টলমল।
আমার হৃদয়-পদ্ম ঘিরে
কথার ভ্রমর কেঁদে ফিরে,
সেই ভ্রমরের কাছে আমার
মনের মধু পিও।।
আই লো, আই সতীন-রা আম খাবি তো আয়
আই লো, আই সতীন-রা আম খাবি তো আয়।
এ আম খেলে, হবে ছেলে ঘুচবে সকল দায়।।
ফকিরের দাওয়ার এ ফল,
খেলে পেটে আসবে লো ফল,
জীবন তোদের হবে সফল, আই লো তোরা আয়।।
লেটো গান: ‘বানর রাজকুমার’
আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার মনে
আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার মনে।
দুলে গো আমার ঘুমে – জাগরণে॥
হতাশ-ভরা বাতাস বহে,
আমার কানে কি কথা কহে;
দিনগুলি মোর যায় যে ঝ’রে যায় –
ওগো যায় যে ঝ’রে ঝরা পাতার সনে॥
গিয়াছে চলিয়া সুখে যাহারা ছিল গো সাথি,
গিয়াছে নিভিয়া জ্বলিতেছিল যে শিয়রে বাতি।
স্মৃতির মালার ফুল শুকাইয়া,
একে একে হায় পড়িছে ঝরিয়া;
বিদায়-বেলা শুনিয়ে বাঁশি ক্ষণে ক্ষণে॥
আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
আঁধার মনের মিনারে মোর হে মুয়াজ্জিন, দাও আজান
গাফেলতির ঘুম ভেঙে দাও হউক নিশি অবসান॥
আল্লাহ নামের যে তক্বীরে
ঝর্না বহে পাষাণ চিরে
শুনি’ সে তক্বিরের আওয়াজ জাগুক আমার পাষাণ প্রাণ॥
জামাত ভারি জমবে এবার এই দুনিয়ার ঈদগাহে,
মেহেদী হবেন ইমাম সেথায় রাহ্ দেখাবেন গুমরাহে।
আমি যেন সেই জামাতে
সামিল হতে পারি প্রাতে
ডাকে আমায় শহীদ হতে সেথায় যতো নওজোয়ান॥
ইয়া মোহাম্মদ, বেহেশেত্ হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও
ইয়া মোহাম্মদ, বেহেশেত্ হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও
এই দুনিয়ার দুঃখ থেকে এবার আমায় নাজাত দাও।।
পীর মুর্শীদ পাইনি আমি, তাই তোমায় ডাকি দিবস-যামী,
তোমারই নাম হউক হজরত আমার পরপারের নাও।।
অর্থ-বিভব-যশ-সম্মান চেয়ে চেয়ে নিশিদিন
দুঃখে শোকে জ্ব’লে মরি পরান কাঁদে শ্রান্তিহীন।
আল্লা ছাড়া ত্রিভুবনে, শান্তি পাওয়া যায় না মনে
কোথায় পাব সে আবহায়াত ইয়া নবীজী রাহ্ বাতাও।।